পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ টাকার কারণে নীতি হীন হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে গাববাড়ী এলাকার স্বর্গীয় হীরা লাল মিস্ত্রির ছেলে বরিশালের ইসলামিয়া কলেজের সাবেক প্রভাষক বাবু বিশ্বজিৎ মিস্ত্রি ( ভানুর) বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায় গত ২০ বছর আগে গাববাড়ী এলাকার সরকারি স্কুল সংলগ্ন জায়গা বিক্রি করার জন্য টাকা নেয় বিশ্বজিৎ মিস্ত্রি । স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে গুয়ারেখা ইউনিয়নের ৭৩নং পাথুলীপাড়া সরকারি প্রাইমারী স্কুল অবস্থিত। বর্তমান প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাবু সুভাষ হালদার ও সভাপতির বাবু সাধন কুমার মিস্ত্রি। ২০ বছর আগে স্কুল কর্তৃপক্ষের নিকট হতে টাকা নেয় বিশ্বজিৎ মিস্ত্রি।বর্তমান সভাপতি ও বর্তমান প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে জানা যায় প্রাথমিক ভাবে গত ২০ বছর আগে ৩৫ ( পয়ত্রিশ) হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন উভয়ই । কিন্তু গত মাসে প্রাইমারী স্কুল কমিটির সাথে বেঈমানী করে এলাকার এন জিও ব্যাবসায়ী ও মীরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি শেখর মজুমদার ও এক সাবেক মেম্বারে পরেশ হাওলাদারের কাছে স্কুলের জায়গা বিক্রি করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন গত ২০ বছর আগে ডোবা দেখিয়ে গাববাড়ী এলাকার মধ্যে সবচেয়ে কঠিন বিতর্কিত কলেজ শিক্ষক বিশ্বজিৎ মিস্ত্রি ( ভানু) জায়গা বিক্রি করে। পরবর্তী সময়ে স্কুলের ডোবা বালু দিয়ে ভরাট করতে প্রায় ৩২০০০ টাকা লাগে সেই সময়ে। এদিকে গুয়ারেখা ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত কলেজ শিক্ষক ঠান্ডা মাথার নিরব ঘাতক বিশ্বজিৎ মিস্ত্রি সুকৌশলে স্কুল কর্তৃপক্ষকে দলিল করে দেয়নি।এলাকার লোকজন আরও জানান বিশ্বজিৎ মিস্ত্রি হীন স্বার্থের জন্য জীবিত আপন এক মায়ের পেটের ভাইকেও ওয়ারিশ কাম সার্টিফিকেট থেকে বাদ দিয়ে বাবার সকল সম্পত্তি ভোগ দখল করে। অথচ আপন ভাই বাটনাতলা স্কুল থেকে ৮৩ সালে এস এস সি পাশ করে। বর্তমানে প্রতিবেশী বন্ধু দেশ ভারতে অবস্থান করতে আছেন। কূটকৌশলী বুদ্ধি খাটিয়ে স্কুলের সাথে বহুত তালবাহানা করে রেজিষ্ট্রি করে দেয়নি আজও ।অথচ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে স্কুলের ভোগদখলে থাকা ৫ শতাংশ জায়গা মীরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও এলাকার এন জিও ব্যাবসায়ী শেখর মজুমদার ও সাবেক মেম্বার পরেশ হাওলাদারের কাছে বিক্রি করে গত মাসের ১৮/০৮/২০২১ তারিখে।এদিকে এলাকার বেশীরভাগ লোকজনের অভিযোগের তীর বিশ্বজিৎ সহ মীরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি, কাউখালি নিমতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও এনজিও ব্যাবসায়ী শেখর মজুমদারের উপর। তবে স্থানীয় লোকজন সহ প্রাইমারি স্কুলের সদস্য সরাসরি অভিযোগের তীর ছুড়েন বর্তমান সময়ের স্কুল কমিটির সভাপতি বাবু সাধন কুমার মিস্ত্রি ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাবু সুভাষ হাওলাদারের বিরুদ্ধে। সরাসরি অভিযোগের তীর ছুড়ে দিয়েছে এলাকার সাধারণ মানুষেররা। মোটা অঙ্কের বিনিময়ে এজাতীয় বেঈমানী করা হয়েছে স্কুল ও মন্দিরের সাথে। সরেজমিনে আসা গণ মাধ্যম কর্মীদের আরও জানায় বাবু সাধন মিস্ত্রি ও উজ্জ্বল মিস্ত্রি বিগত সময়ে এজাতীয় বহু নাটক করে পার পেয়ে গেছে। এক জায়গা তিন জনের কাছে বিক্রি করারও অভিযোগ উঠেছে। তবে স্কুলের মত আরও বহু সত্য ঘটনা ধামাচাপা দিতে পারেনি। এব্যাপারে প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি স্কুলের জায়গার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করেন। বিশ্বজিৎ মিস্ত্রিকে ৩৫ হাজার টাকা দিয়াছে স্কুল কর্তৃপক্ষ । আর বালু ভরাট করতে স্কুলের আরও ৩০/৩২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এদিকে এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত কলেজ শিক্ষক বিশ্বজিৎ মিস্ত্রিরির সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন। গণ মাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা বলার সময় কোন প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেনি। তবে ভিন্ন কথা বলেন নিমতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও এলাকার মধ্যে মীরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি শেখর মজুমদার। তিনি অকপটে বলেন আসলে আমার জায়গাটা কেনা ঠিক হয়নি। আমি প্রাইমারী স্কুলের সভাপতি সাধন কুমার মিস্ত্রি ও বিশ্বজিৎতের মধুমাখা কথা শুনে আমি অবশেষে স্কুলের জায়গা কিনতে বাধ্য হই। এলাকার সাবেক মেম্বার পরেশ ও আমি আমাদের স্বার্থের জন্য স্কুলের জায়গা কিনি । তবে সাবেক মেম্বার গাববাড়ী এলাকার পরেশ বলেন আমি জেনেশুনে ভুল করেছি। আমি প্রয়োজন হলে স্কুলের স্বার্থে সরে দাঁড়াবো।তবে সর্বশেষ তথ্য মতে গত পরশু সহ রবিবারও এলাকার সকলে মিলে শালিসি বৈঠকে বসেছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিমিত্তে। এ ব্যাপারে এলাকার সুশীল সমাজের বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন আমরা সকলেই স্কুলের জায়গা ফেরত চাই। পাশাপাশি সাবেক কলেজ শিক্ষক বাবু উজ্জ্বল মিস্ত্রি ( ভানু), প্রাইমারী স্কুলের সভাপতি বাবু সাধন কুমার মিস্ত্রি ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাবু সুভাষ হাওলাদার, মীরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি শেখর মজুমদারের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চায়। আগামীতে কেহ যেন এভাবে স্কুলের জায়গা নিয়ে নাটক করার সাহস না পায়। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়ার আহবান জানান। বর্তমানে এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে ব’লে এলাকার বেশির ভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন। প্রশাসনের সুদৃষ্টি দেওয়া অতীব জরুরী বলে মনে করেন।
Leave a Reply